অনুসন্ধান ফলাফলগুলি - Coolidge, Calvin, 1872-1933
ক্যালভিন কুলিজ
কুলিজের কর্মজীবন শুরু ম্যাসাচুসেটসের রাজ্য সরকারে কাজ করার মধ্য দিয়ে। ধীরে ধীরে রাজ্য রাজনীতিতে উঠে ১৯১৮ সালে গভর্নর নির্বাচিত হন। গভর্নর থাকার সময় টাকাপয়সার হিসাব নিকাশে কড়াকড়ি, মহিলাদের ভোটাধিকরের জোরালো সমর্থন আর মদ নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা—এই বিষয়গুলো নিয়ে তিনি প্রচার চালিয়েছিলেন। ১৯১৯ সালে বোস্টন পুলিশের ধর্মঘটে তাঁর দ্রুত আর কড়া পদক্ষেপ সারা দেশে তাঁকে এক "কাজের মানুষ" হিসেবে পরিচিত করে তোলে। পরের বছর, ১৯২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি তাঁকে হার্ডিংয়ের সহপ্রার্থী (ভাইস প্রেসিডেন্ট) মনোনীত করে। তারা বিপুল ভোটে জিতে যায়। হার্ডিং ১৯২৩ সালে মারা গেলে কুলিজ প্রেসিডেন্ট হন।
তাঁর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন হার্ডিং আমলের কেলেঙ্কারিগুলোর পর আবার মানুষ হোয়াইট হাউসে ভরসা ফিরে পায়। তিনি ১৯২৪ সালে ইন্ডিয়ান নাগরিকত্ব আইন পাস করান, যার ফলে সব আদিবাসী আমেরিকান নাগরিকত্ব পায়। তাঁর সময়েই আমেরিকায় "হৈ-হুল্লোড়ে ভরা বিশের দশক" (Roaring Twenties) নামে অর্থনীতির জোয়ার আসে। বেশ জনপ্রিয় অবস্থায় তিনি প্রেসিডেন্টের চাকরি ছাড়েন। ব্যবসায় সরকার যেন হাত না গলায়, এই নীতিতে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন। জীবনীকার ক্লড ফিউস লিখেছিলেন: "তিনি মধ্যবিত্ত মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষারই প্রতীক ছিলেন, তাদের মনের কথা বুঝতে আর বলতে পারতেন। সাধারণ মানুষেরই প্রতিনিধি ছিলেন বলেই তিনি এত শক্তিশালী ছিলেন।" ১৯২৮ সালে তিনি আর প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াননি। কারণ তাঁর মতে, দশ বছর প্রেসিডেন্ট থাকা "কারো থেকেই বেশি—খুবই বেশি!"
জাতিগত বিভেদ যখন তুঙ্গে, সেই সময়ে সব জাতির সমান অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য কুলিজকে এখনও স্মরণ করা হয়। যারা ছোট সরকার আর বাজারে সরকারি হস্তক্ষেপ না চান, তাঁরাও তাঁকে সম্মান করেন। তবে যারা চান সরকার সক্রিয় হোক, তাদের কাছে কুলিজের কদর ততটা নেই। সমালোচকরা বলেন, দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগোচ্ছিল, তখন তিনি কৃষক বা পিছিয়ে পড়া শিল্পের শ্রমিকদের সাহায্য করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। আর একটা বড় বিতর্ক হলো—তাঁর নীতিই কি পরের মহামন্দার কারণ? কারণ তিনি প্রেসিডেন্ট ছাড়ার পরপরই এই মন্দা শুরু হয়। গবেষকরা সাধারণত আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের তালিকায় তাঁকে মাঝামাঝি বা নিচের দিকেই রাখেন। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ